এখন সবাই বোঝে আর্টিস্ট এর আঁকা ছবির বক্তব্যটাই আসল, মিডিয়ামটা মুখ্য না

এখন সবাই বোঝে আর্টিস্ট এর আঁকা ছবির বক্তব্যটাই আসল, মিডিয়ামটা মুখ্য না

সহযোগী সম্পাদক, উন্মাদ ও
প্রতিষ্ঠাতা, কার্টুন পিপল

স্কুলে থাকতে মাউস দিয়ে এমএস পেইন্ট সফটওয়্যারে প্রথম ছবি আঁকা শুরু করি। ডিজিটাল পেন ব্যবহার করে ছবি আঁকা তখন আমাদের চোখে রীতিমত সায়েন্স ফিকশন।
২০০৯ সালে আমার প্রথম ডিজিটাল প্যাডে আঁকা শুরু। সেসময় আমাদের দেশে ডিজিটাল আর্টকে ‘আসল’ আর্ট বলে গণ্য করা হতো না। কেউ দেখলে জিজ্ঞাসা করতো, ‘হাতে এঁকেছো নাকি কম্পিউটারে?’ মানে কম্পিউটারেও যে হাতেই আঁকা হচ্ছে সে সম্পর্কে কারও তেমন ধারণাই ছিল না। সময় পাল্টেছে, এখন সবাই বোঝে আর্টিস্ট এর আঁকা ছবির বক্তব্যটাই আসল, মিডিয়ামটা মূখ্য না। তাই এখন আর কেউ এসব অবান্তর প্রশ্ন করে না। বরং ডিজিটাল ড্রইংয়ের এতটাই প্রচলন হয়েছে যে ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ক প্লেস গুলোতে (যেমন: অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, গেইম ডেভেলপমেন্ট ফার্ম ইত্যাদি) গ্রাফিক্স ট্যাবলেট ছাড়া কাজ করার কথা আজকাল চিন্তাও করা যায় না। আর এই ডিজিটাল আর্ট এক্সেসরিজের জগতে মাল্টিমিডিয়া কিংডম অনেক বছর ধরেই একটি পরিচিত ও বিশ্বস্ত নাম।

আমার বর্তমান ওয়াকম মোবাইল স্টুডিও প্রো পেন ডিসপ্লেটা মাল্টিমিডিয়া কিংডম থেকেই কেনা। তাদের সাথে পরিচয়ের পর থেকে আমি বিদেশ থেকে গ্রাফিক্স ট্যাবলেট আনানোর প্রচেষ্টা বাদ দিয়েছি। কারণ তাদের ওয়েবসাইট কিংবা ফোনে অর্ডার করলে সুলভমূল্যে সঠিক সময়ে প্রোডাক্টটা তারা আমার বাসায় পৌঁছে দেয়। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কিংডম বাংলাদেশের কার্টুন কমিউনিটি কার্টুন পিপলসহ বিভিন্ন আর্ট সম্পর্কিত উদ্যোগে সবসময় সঙ্গে ছিল। আমি তাদের সর্বাত্মক সফলতা কামনা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.